চেয়ারে আছেন মাবু, বাড়ছে জল্পনা

প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল, ২০১৭ ১১:০২

পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে


পৌরভবনের মেয়রের চেয়ারে বসে দাপ্তরিক কাজ সারছেন মাবু। বৃহস্পতিবার বেলাআড়াইটায় তোলা ছবি।

শাহেদ মিজান, সিবিএন:
দু’জনের টানাটানির মধ্যেকক্সবাজার পৌরসভার মেয়র পদ নিয়ে দ্বন্দ্বের প্রথম দিন অতিবাহিত হচ্ছে। এই পদ নিয়ে নির্বাচিত মেয়র সরওয়ার ও ভারপ্রাপ্ত মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরীর দ্বন্দ্ব বিরাজ করছে। দু’জনই মেয়র পদে দাবিদার দাবি করলেও স্বাভাবিক ভাবে পৌর ভবনের অফিস করছেন মাহবুবুর রহমান। আদালতের নির্দেশনার অনুবলে নিজেকে বৈধ মেয়র দাবি করলেও পৌরসভা ভবনে আসেননি সরওয়ার কামাল। তবে তিনি ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন, পৌরভবনের চেয়ারে বসতে না পারলেও তিনি যেখানে বসবেন সেখান থেকে চালাবেন পৌরসভার কার্যক্রম।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভারপ্রাপ্ত মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরী প্রতিদিনকার মতো বৃহস্পতিবারও নির্ধারিত সময় সকাল ১০টায় পৌর ভবনে আসেন। সেখানে একটানা দুপুর পর্যন্ত অবস্থান করে নানা কাজা সম্পাদন করেন। দুপুরের পর বিকাল সাড়ে ৫টায় এই রিপোর্টার লেখা পর্যন্ত পৌর ভবনের মেয়রের চেয়ারে বসে দাপ্তরিক কাজকর্ম সারছেন।
বৈধ দাবির দু’মেয়রের ইস্যু নিয়ে বুধবার থেকে কক্সবাজার শহরে আলোচনার ঝড় চলছে। এই ঝড়টি থামার কোনো লক্ষণ দেখতে পাচ্ছে না পৌরবাসী। কেননা এখন পর্যন্ত সরওয়ার ও মাবু দু’জন দু’জনের দাবিতে অটল রয়েছে। সে কারণে সরওয়ার ফিরে পায়নি তার চেয়ার। অন্যদিকে স্বাভাবিক কার্যক্রম চালাচ্ছে মাহবুবুর রহমান চৌধুরী। তবে দু’পক্ষের অনড় অবস্থান একটা ঘুমোট পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এই নিয়ে উত্তেজনাও বাড়ছে। এতে সাধারণ লোকজনের একট বিভক্তিরও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে সরওয়ার কামাল বলেন, ‘আদালতে নির্দেশনার অনুবলে তিনি এখন কক্সবাজার পৌরসভার বৈধ মেয়র। পদে বসে দাপ্তরিক কাজ চালাতে তার জন্য আর কোনো বাধা নেই। কিন্তু আদালতে নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে গায়ের জোরে চেয়ার দখল করে রেখেছেন মাবু। মাবু ভবনে ভাড়াটে লোক দিয়ে পৌর ভবন ভরে রেখেছেন।’
অভিযোগ অস্বীকার করে মাহবুবুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বেলা তিনটা পর্যন্তও আমি সরওয়ার কামালের দাবির পক্ষের কোনো চিঠি কোথাও থেকে পাইনি। চিঠি বা আদেশ না পাওয়ায় আমিই এখন বৈধ মেয়র। সে অনুসারে আমি পৌরসভা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।’
ভাড়াটে লোক সম্পর্কে মাবু বলেন, ‘ভাড়াটে লোক দিয়ে চেয়ার আঁকড়ে থাকা যায় না। তাই ভাড়াটে লোকজন পৌর ভবনে আনার দরকার আমি করি না। ভারপ্রাপ্ত হিসেবে আমাকে মন্ত্রণালয় থেকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আবার যদি চেয়ার ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ আসে তাহলে আমি স্ব-সম্মানে চেয়ার ছেড়ে দেবো।’